কুয়েতে কোন কাজের চাহিদা বেশি। কোন কাজে বেতন বেশি

আপনারা যারা কাজের জন্য প্রবাসে যেতে চান তাদের অনেকের অন্যতম পছন্দের একটি দেশ হচ্ছে কুয়েত। অন্যান্য দেশের তুলনায় এখানে ইনকাম একটু বেশি। তাই অনেকে কুয়েতে বিভিন্ন কাজের জন্য যেতে চান। কিন্তু জানেন না যে কুয়েতে কোন কাজের চাহিদা বেশি এবং কোন কাজে বেতন বেশি পাবেন । তাই আজকের পোস্টে আমরা আপনাদের সাথে আলোচনা করব এমন কয়েকটি কাজ যেগুলো আপনি জানলে কুয়েতে গিয়ে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। 

কুয়েতে কোন কাজের চাহিদা বেশি



বর্তমান যুগে হাতের কাজের কোন বিকল্প নেই। যে কেউই যদি কোন একটি হাতের কাজ জানা থাকে তাহলে অন্যান্যদের তুলনায় তার অনেক মূল্য রয়েছে। তেমনি কুয়েতও হাতের কাজের কোন বিকল্প নেই। আপনার যদি নির্দিষ্ট কোন কাজ জানা থাকে তাহলে অবশ্যই  ভালো স্যালারির কাজ সহজে পেয়ে যাবেন।

বাংলাদেশ থেকে অনেকেই কুয়েতে স্থায়ী হয়েছেন বা কাজ করতেছেন। অনেকেই আছে যাদের ফ্যামিলি থেকে এক বা একাধিক লোক কুয়েতে থাকে। আবার এটাও সত্যি যে কুয়েতে গিয়ে সকলের সাকসেস হতে পারে না। তাই আপনাকে আজকে যে সাতটি কাজের কথা শেয়ার করব সেগুলোর মধ্যে যেকোন একটি যদি আপনার জানা থাকে তাহলে কুয়েতে গিয়ে অবশ্যই সফল হতে পারবেন।

এই কাজগুলো যেকোনো একটি শিখে যদি আপনি কুয়েতে যেতে চান তাহলে সেখানে মাসে ৩০০ থেকে ৪০০ দিনার ইনকাম করা সম্ভব।

কুয়েতে কিভাবে যাবেন

সাধারণত কুয়েতে যেতে হলে আপনাকে যেকোনো একটি কোম্পানি থেকে কাজের ভিসা নিতে হয়। তখন ওই কোম্পানি আপনাকে আকামা দিয়ে থাকবে। এবং ওই কোম্পানির নির্ধারিত যে কাজটি থাকবে সেটি আপনাকে করতে হবে।

 

1.ইলেকট্রিশিয়ান 

ইলেকট্রিশিয়ান এর মূল্য পৃথিবী যে কোন দেশে রয়েছে। তেমনি কুয়েতের ইলেক্ট্রিশিয়ানের অনেক মূল্য। আপনি যদি কোন কোম্পানির মাধ্যমে কুয়েতে যান এবং আপনার যদি ইলেকট্রিক কাজ যারা থাকে তাহলে সেটি করতে পারবেন। পাশাপাশি আপনি আউট ইনকাম হিসেবে পার্সোনালি অনেকের কাজ করে দিতে পারবেন। অনেকের বাসা-বাড়ি, দোকান ইত্যাদিতে আপনি নিজে কন্টাক করে কাজ করতে পারেন। ফলে আপনার কোম্পানি যে বেতনটি থাকবে তার পাশাপাশি আপনি অতিরিক্ত আরো  ইনকাম করতে পারবেন ।

 

2.মোবাইল মেকানিক

সাধারণত কুয়েতের নাগরিকভাবে মোবাইল মেরামতের কাজ করে না। এটা মূলত বাইরের বিভিন্ন দেশের যারা থাকে তারা করে থাকে যেমন ভারত পাকিস্তান বাংলাদেশ মিশর মালয়েশিয়া। এসব দেশের লোকের মূলত মোবাইল মেকানিকের কাজ করে থাকে।

তাই আপনি যদি মোবাইল মেকানিকের কাজ শিখিয়ে কুয়েতে যেতে পারেন তাহলে সেখানে যেকোনো একটি দোকানে বসে বেশ ভালো পরিমাণ ইনকাম করতে পারবেন।

 

3.গ্যারেজ সার্ভিসিং


কুয়েতের প্রতিটি ফ্যামিলির প্রত্যেকের আলাদা আলাদা গাড়ি থাকে। অর্থাৎ কুয়েতে গাড়ির সংখ্যা এত পরিমাণ বেশি  যা আপনার আমার কল্পনার বাইরে। তাই আপনি যদি গাড়ি মেরামতের কাজ শিখে কুয়েতে আসতে পারেন তাহলে আপনি সহজে যে কোন একটি গ্যারেজে কাজ নিতে পারবেন। সেখানে আপনি মাসে ৩০০ থেকে ৪০০ দিনার সহজে ইনকাম করতে পারবেন। এক্ষেত্রে যদি আপনার কাজের অভিজ্ঞতায় বেশি থাকে তাহলে আপনি আরো বেশি ইনকাম করতে পারবেন সিটি ৫০০ থেকে ৬০০ দিনার পর্যন্ত তারও বেশি।

 

4.এসি টেকনিশিয়ান

কুয়েতে প্রায় প্রত্যেকটি রুমে সবার বাড়িতে এসি রয়েছে। এমনকি যারা বাংলাদেশ থেকে কুয়েতে কাজের জন্য আসে তাদের রুমেও এসি থাকে। তাই বলা যায় কুয়েতে প্রতিটি ঘরেই এসি রয়েছে। এক্ষেত্রে আপনি যদি ভাল একজন এসি টেকনিশিয়ান হন তাহলে আপনার মূল্য অনেক বেশি। এটি শিখে যদি আপনি কুয়েতে যেতে পারেন তাহলে আপনার সফল হওয়ার সম্ভাবনা ৯৯.৯৯% । এবং এগুলা  পার্সোনাল কাজ করে আপনি মাসে 1000 দিনার পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন ।

 

5.দর্জির কাজ

দর্জির মূল্য যেমন বাংলাদেশে আছে তেমনি দেশের বাইরেও আছে। কুয়েত এর ব্যতিক্রম নয়। এখানে প্রচুর দর্জির কাজের চাহিদা রয়েছে। আপনি যদি ভালো সেলাইয়ের কাজ যেনে কুয়েতে যেতে পারেন তাহলে আপনি যে কোন দোকানে বা পার্সোনাল  কারো অধীনে কাজ করে থাকেন সে ক্ষেত্রে আপনার ৪০০-৫০০ দিনার ইনকাম করা সহজ।

 

6.গ্রাফিক্স ডিজাইন

বর্তমান ডিজিটাল যুগে গ্রাফিক্স ডিজাইন খুবই একটি জনপ্রিয় এবং চাহিদা সম্পন্ন কাজ। আপনার যদি গ্রাফিক্স ডিজাইন জানা থাকে তাহলে আপনি ঘরে বসেও বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস থেকে এবং বিভিন্ন কোম্পানির কাজ করে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

কিন্তু গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাছ শিখে যদি আপনি কুয়েতে আসেন সেক্ষেত্রে কুয়েতের বিভিন্ন বড় বড় আইটি কোম্পানি আছে  খারাপ প্রচুর পরিমাণে গ্রাফিক্স ডিজাইনার হায়ার করেন সেগুলোতে আপনি সহজেই কাজ পেয়ে যাবেন যদি আপনার প্রপার কাজ জানা থাকে। সে ক্ষেত্রে আপনি এক থেকে দেড় হাজার ডিনার  পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন।

আরো পড়ুনঃ কানাডা যাওয়ার উপায় । ৬ টি সহজ উপায়

7.কম্পিউটার শিক্ষা

আপনার যদি কম্পিউটার সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকে। কম্পিউটারের বিভিন্ন এপ্লিকেশন সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকে। অর্থাৎ কম্পিউটারের বিভিন্ন কর্পোরেট লেভেলের যে কাজগুলো রয়েছে সেগুলো শিখে কুয়েতে আসেন তাহলে কুয়েতের বিভিন্ন বড় বড় অফিসে আপনি কাজ পেতে পারেন। এবং সেখান থেকে আপনি ইউজ পরিমানের ইনকাম করতে পারবেন। যেখানে আপনার বেতন হবে বাংলাদেশি টাকা দের থেকে ২ লক্ষ টাকা। তাই আপনার যদি কম্পিউটার সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকে তাহলে কুয়েতে এসে অবশ্যই সফল হতে পারবেন।

প্রিয় বাংলাদেশী ভাইয়েরা কুয়েত একটি মরুভূমি দেশ কুয়েতে আসলে বাইরে কাজ করা খুবই কঠিন। তাই আপনি যদি এ ধরনের যে কোন একটি কাজ শিখে আসতে পারেন । তাহলে আপনাকে বাইরে cleaner বা অন্যান্য যে সকল মরুভূমিতে কাজগুলো রয়েছে সেগুলো করতে হবে না।

0/Post a Comment/Comments

Previous Post Next Post